সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম মারা গেছেন।মঙ্গলবার(১৮ ফেব্রুঃ)ভোর ৫ টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মাসুমা ইসলাম এখন টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো অফিসের প্রতিবেদক ছিলেন।তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র মেয়ে।
মাসুমা পড়াশোনা করেছেন রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে,যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অধ্যয়ন বিভাগে।শিক্ষাজীবন থেকেই তার সাংবাদিকতার শুরু।পরে তিনি পেশা হিসেবে নেন।
২০২৩ সালের শেষের দিকে তিনি বিয়ে করেন। রাজশাহীতে স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন।অফিস থেকে ছুটি নিয়ে গেল ১৪ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ বেড়াতে যাচ্ছিলেন।এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নূরজাহান হোটেলের উল্টোদিকে বাস থেকে নেমে সিএনজি ঠিক করার সময় দ্রুতগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়।
মাসুমা ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন।প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসায় উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মাসুমা না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রাকিবুল হাসান রাজিব বলে,
মাসুমার মরদেহ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মারকাজুল ইসলামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে গোসল শেষে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নাটোরের গুরুদাসপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
মাসুমা ইসলাম কঠোর পরিশ্রমী ও বিনয়ী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন।তার অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।