এস.এ.মোত্তালিব 
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর মুন্না হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি ও এলেক্স ইমন এবং গলাকাটা রানার অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইসমাইল হোসেন (২৭)রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
আজ মঙ্গলবার ১১/০৩/২০২৫ ইং তারিখ বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-০২।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রæততম সময়ে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০/০৯/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৮.১৫ ঘটিকায় ভিকটিম মোহাম্মদপুর থানাধীন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের ভেতরে ফুটবল খেলা দেখে পাঁয়ে হেটে তার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আসামি ইসমাইল ও তার অন্যসহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম মুন্না হাওলাদারকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে। ঐ সময় স্থানীয়রা ছুটে এলে আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৪৮/১১১৬ তারিখ-২২/০৯/২০২৪, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনালকোড ১৮৬০) দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১১/০৩/২০২৫ ইং তারিখ বিকেলে উক্ত মামলার আসামি ইসমাইল হোসেন কে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে গ্রেপ্তার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
