র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ, প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশে থেকে সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোড়দার করে যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং দেশে আদিকাল থেকে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব যথাযথভাবে উদযাপন করতে র্যাব সাধারণ মানুষের পাশে সদা জাগ্রত থেকেছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে র্যাব-৪, ঢাকার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে গাবতলী, মিরপুর-১০, কালশী, পল্লবী, ইসিবি চত্ত্বর, সাভার, নবীনগর এবং মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় নিয়মিত টহল এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে যেতে পারে সেজন্য র্যাব-৪, ঢাকা এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষ যেন কোন ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য র্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর, নবীনগর, বাইপাইল এলাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে। এছাড়াও গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে র্যাব-৪ কর্তৃক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। বাসের টিকেট সিন্ডিকেট, কালোবাজারী কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রভৃতি অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালানা করার পরিকল্পনা রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোষ্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বেশিরভাগ মানুষ নিজ শেকড়ে ছুটে যাবেন। ভ্রমণের সময় যাত্রীদের মলম পার্টি-অজ্ঞান পার্টি ও অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে অযাচিত সখ্যতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময়ে বাসা বাড়ি এবং মার্কেট ফাঁকা থাকার কারণে কেউ যেন কোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিশেষ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে র্যাব-৪। বিশেষ করে ঈদ পরবর্তী র্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যাবস্থা অব্যাহত থাকবে। অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা। ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র্যাব-৪ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও ঈদ পরবর্তী বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে কেউ যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোন উদ্বুব্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। উল্লেখ্য র্যাব-৪ কর্তৃক গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ হতে ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত কিশোর গ্যাং ও দুষ্কৃতিকারী ২০ জন এবং ছিনতাইকারী ১৫ জন আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে র্যাব-৪ কর্তৃক উক্ত নিরাপত্তা কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যেকোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। এবারের ঈদ-উল-ফিতর শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিতকল্পে র্যাব-৪ এর সর্বোচ্চ সচেষ্টতা অব্যাহত থাকবে।