রাজধানীর লালবাগ থানাধীন নিউ-পল্টন ও কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষার্থী ও শ্রমিকের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।নিহতরা হলেন,ছাত্র বেঞ্জির আহমেদ রোজ (১৯ )ও মোঃআরিফ (৩০) ।
বুধবার(২৭ মার্চ)দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ও (২৭ মার্চ)সকাল পৌনে এগারোটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের মামা মোঃফেরদৌস আলম জানান, আমার ভাগিনা মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজে এইচ,এস,সি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গতরাত সাড়ে দশটার দিকে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজ রুমে সিলিং ফ্যানে হুকের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়।পরে দেখতে পেয়ে লালবাগ থানার পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় অচেতন অবস্থায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কি কারনে আমার ভাগিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়টি আমরা কিছু বলতে পারব না।
তিনি আরো জানান,আমার ভাগিনার বাসা লালবাগের নিউ পল্টন এলাকার ১৩৯ নম্বর
সাত তলা বাসায় থাকতেন।
লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থী কে পচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে,আমরা মৃত্যুর বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি ময়নাতন্ত্রের প্রতিবেদনেরিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অপরদিকে,কামরাঙ্গীরচর থানায় এলাকার মহিউদ্দিন টিম্বার এন্ড স,মিলের ভিতর মোঃ আরিফ (৩০) নামের এক কর্মচারীর গলায় ফাঁস দেয়া আত্মহত্যা।
বৃহস্পতিবার(২৭ মার্চ)সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পৌনে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করে।
তাকে নিয়ে আসা সহকর্মী হৃদয় ও রাসেল জানান, আমরা ওই স, মিলে কাজ করি আজ সকালের দিকে ওই স মিলের মধ্যে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলা স্বরূপকাঠি থানা সরপটি এলাকার তৈয়ব হাওলাদার সন্তান।বর্তমানে, কামরাঙ্গীরচর ওই স, মিলেই থাকতো ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।