পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদে বিক্ষোভ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেকের) সামনে বিক্ষোভ করেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার(২৩ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।এ ছাড়াও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ,ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ,বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না,চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশসহ পাঁচ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও।দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ,সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস)শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে।এবার সারাদেশে তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায়ে আগামীকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) একাডেমিক শাটডাউন ও মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের উদ্দেশে লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।বিক্ষোভে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।দাবিগুলো হলো ।
- এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না।বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দেওয়া, ম্যাটসদের নিবন্ধন দেওয়া বন্ধ করা এবং বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
- চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।এমবিবিএস/বিডি এস,ছাড়া আর কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।
- স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ,চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
- সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল(ম্যাটস)এবং মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
- চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি ডা.জাতির হোসেন বলেন,এমবিবিএস এবং বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না-এই আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা রিট করেছি।বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত ৯০ বার শুনানি হয়েছে,কিন্তু নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
আগামী(২৫ফেব্রুয়ারি)বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে,আমাদের দাবি,সেদিন বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক।ম্যাটস থেকে উত্তীর্ণরা অনেক ক্ষেত্রেই অপচিকিৎসা দিচ্ছেন,এটা বন্ধ হোক।
তিনি আরও বলেন,আমাদের দাবি আদায়ে আগামীকাল সোমবার একাডেমিক শাটডাউন ও পরদিন আগামী মঙ্গলবার(২৫ ফেব্রুয়ারি)হাইকোর্টে উদ্দেশে লংমার্চ করবো।