রাজধানীর কমলাপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে আপন দেবর কর্তৃক ভাবিকে হত্যা মামলার আসামি ঘাতক দেবর মাসুদ হাওলাদার র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এছাড়াও বিভিন্ন হত্যাকান্ডের ঘটনায় হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৬/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল ১১১৫ ঘটিকার সময় রাজধানীর দক্ষিন কমলাপুরস্থ কবরস্থান গলিতে পারিবারিক শক্রতার জের ধরে নিজ বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে পরিকল্পনাভাবে ছুুরি দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার একটি ঘটনা ব্যাপকভাবে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। উক্ত বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি র্যাব-৩ এর নজরে আসলে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা টিম কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান সনাক্ত করে র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দলকে তথ্য প্রদান করে।পরবর্তীতে র্যাব-৩ এর তথ্যর ভিত্তিতে র্যাব-৮ ও পুলিশের একটি আভিযানিক দল শরিয়তপুর জেলার পালং থানাধীন ১নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকায় ০৮/০৪/২০২৫ তারিখ রাত ০৩৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে *বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ১। মাসুদ হাওলাদার (৪৬), পিতাঃ মৃত ইউনূস হাওলাদার, সাং- ১৭১/৩ দক্ষিন কমলাপুর, থানাঃ মতিঝিল, ডিএমপি, ঢাকাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি জানায়, ধৃত আসামির স্ত্রীর সাথে ০২ বছর পূর্বে পারিবারিক ছোটখাট বিষয় নিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাধ হয়। পরবর্তীতে আর কোন ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয় না বলে জানায়। ভিকটিম তার খালা শাশুড়ীর বাসা থেকে আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে নিজ বাসায় ফেরার পথে ধৃত আসামি জানতে পেরে পূর্বে থেকে উক্ত স্থানে উৎপেতে থাকে। অতঃপর ভিকটিম দক্ষিন কমলাপুরস্থ কবরস্থান গলির সামনে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ধৃত আসামি ধারালো ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে ভিকটিমকে আঘাত করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মাটিতে লুটে পরে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করে। হত্যাকান্ডের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধৃত আসামি নিজেকে আত্মগোপন করে এবং আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার হয়।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।